প্রাথমিক তথ্য- সবজিতে বিভিন্ন ধরনের পোকা আক্রমণ করে ক্ষতিগ্রস্থ করে। আক্রমণের লক্ষণ/ ধরন বিবেচনা করে পোকামাকড়গুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
(ক) মাজরা পোকা মাছি ও প্রজাপতির শুককীট গাছের কচি ডগা, কাণ্ড, ফল ফুটো করে ভিতরে ঢুকে ভিতরের অংশ খায়। এতে ডগা, কাণ্ড, ফল নষ্ট হয়ে যায়। এ জাতীয় আক্রমণকে মাজরা ও ফলের মাছি পোকা বলা হয় ।
(খ) শোষক পোকা-গাছের কচি ডগা, পাতা, ফলের রস চুষে খাওয়ার ফলে বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, পাতা বিবর্ণ হয়, কুঁকুড়িয়ে যায়, ফুল শুকিয়ে যায়। এ জাতীয় আক্রমণ হয় জাব পোকা, গান্ধি পোকা, থ্রিপস, লাল মাকড়, পাতা ফড়িং, ঘোড়া পোকা দ্বারা ।
(গ) চিবানো পোকা- গাছের পাতা, ডগা, কাণ্ড, ফল কামড়ায়ে বা চিবিয়ে খায় ও নষ্ট করে। গাছের বৃদ্ধি কমে যায়, ফলন কমে। এজাতীয় আক্রমণ হয় বিছা/ লেদা পোকা, গুবরে পোকা দ্বারা ।
(ঘ) মাটিতে বসবাসকারী পোকা-সবজির চারা বা অল্প বয়ক/কচি গাছ মাটি সমতলে কেটে বিনষ্ট করে। এ জাতীয় আক্রমণ হয় উই, কাটুই পাকা, ক্রিকেট পোকা দ্বারা ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১। পোকা ধরার জাল, ২। আক্রান্ত গাছের চারার / কাণ্ডের / ডগার নমুনা ৩। ইনসেক্ট কিলিং জার ৪। ফরসেপ ৫। ড্রইং পেপার, ৬। পেন্সিল, ৭। রাবার, ৮। স্কেল, ৯। অগার/নিড়ানি, ১০। পোকা রাখার পলিথিন ব্যাগ, গাস/পাস্টিক পাত্র, ১১ । খাতা কলম ।
কাজের ধাপ
১. পোকা ধরার জাল, কিলিং জার, পলিথিন প্যাকেট, প্লাস্টিক বৈয়াস মাটি খুড়ার জন্য অগার / নিড়ানি নিয়ে সবজি ক্ষেতে যেতে হবে।
২. আক্রমণ দেখে জাল ব্যবহার করে পোকা ধরতে হবে। গাছের গোড়া কাটা থাকলে মাটি খুড়ে পোকা ধরতে হবে।
৩. পোকা ধরে সাবধানে ইনসেক্ট কিলিং জারে রেখে ঢাকনা বন্ধ রাখলে ২/৩ মিনিটের মধ্যে পোকা মারা যাবে। জার থেকে পোকা বের করে আক্রমণের লক্ষণ দেখে পোকাকে শ্রেণিভুক্ত করতে হবে।
৪. পাকাগুলোর আরও পর্যবেক্ষণের দরকার হলে স্বচ্ছ কাঁচের/পাষ্টিকের পাত্রে রাখা যেতে পারে। পাকাগুলো শনাক্ত করে ড্রইং শিটে চিত্র আঁকতে হবে।
৫. প্রয়োজনে পোকার ছবি সংগ্রহ করেও পোকার সাথে মিলিয়ে শনাক্ত করা যাবে।
৬. কাজের প্রতিটি ধাপ ব্যবহারিক খাতায় লিখতে হবে।